রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে ভি‌ডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এখন আমরা আর স্কুল-কলেজ খুলছি না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকা‌রি বাসভবন গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবি‌নিময় করছেন তিনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ক‌রছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ‌্য স‌চিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এর আগে, করোনার কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৫ মে ২০২০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলা জানানো হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে কয়েক দফা সরকার সাধারণ ছুটি ঘোঘণা করে সরকার। সে ছুটি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়।

সূত্রঃ সময়নিউজটিভি
ভিডিও: https://youtu.be/8jLm2G_-rq4

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

এইবার বলেন, ঠিক কিনা?

আর একদিন পর রমজান।। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটা একটা পবিত্র মাস। তবে এইমাসের লৌকিক আচরন থেকেও সাম্যের যে অসাধারন শিক্ষা আছে সেটা দিন দিন আচারের আতিশায্যে হারিয়ে যাচ্ছে।।ধর্মীয় আইনকে সাম্য,ন্যায়বিচারের টুল হিসাবে দেখতেই বেশি আগ্রহী। এইসব লৌকিকতা, অলৌকিকতা সম্বলিত ধর্মের আবেদন সাধারনের কাছে যেভাবেই গৃহীত হোক চূড়ান্ত বিচারে সমাজে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় আইনকে সাংঘর্ষিক হিসাবেই উপস্থাপন করছে।

মুহাম্মদের (সাঃ) সমাজ সংষ্কারের ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার যে অংগীকার সেটা বর্তমান মুসলমানরা কতটুকু নিতে পেরেছে সেই প্রশ্ন তোলা যৌক্তিক।

মুহাম্মদের (সাঃ) প্রথম স্ত্রী খাদিজা একজন বিধবা এবং তার চেয়ে বেশি বয়স্ক ছিলো। এখনকার মুসলিম রা বহুবিবাহের প্রশ্ন আসলে মুহম্মদের (সাঃ) উদাহরন নিয়ে আসে  কিন্ত মুহম্মদের(সাঃ) বিধবা বিবাহের যে যুগান্তকারী সমাজ সংষ্কারের টিচিং আছে সেটা নেয় না। সতিচ্ছেদ খুজে। বিধবার কি সতিচ্ছেদ ছিলো?

মদীনা সনদের উপর নিজ হাতে বিসমিল্লাহ কেটে দিয়ে মুহম্মদ(সাঃ) যে টিচিং দিলো তা হলো যে সংবিধানের ধর্ম নাই। সংবিধান রাষ্ট্রের সব নাগরিকের, সব ধর্মের মানুষের দুনিয়াবী কন্ট্রাক্ট। এটা কোরান না যে বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করতে হবে। আমরা রাজনৈতিক ইভিল মাইন্ডসেট থেকে সংবিধানে বিসমিল্লাহ লাগাইলাম, চেয়ার টেবিল কে ধার্মিক বানাইলাম, রাষ্ট্রের মত বায়বীয় জিনিসের ধর্ম দিলাম। রাষ্ট্রের নাকি ধর্ম ইসলাম? রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কি? রাষ্ট্র ধর্ম দিয়ে সবাই বেহেশতে চলে যাবো, তাই মনেমনে ভেতরে ভেতরে স্বপ্ন দেখি দুনিয়াবী হুর ঐশ্বরিয়াকে।

আমি শুধু দুইটা খুব কমন উদাহরন বললাম। এমন হাজার হাজার উদাহরন আছে। মুহম্মদ(সাঃ) অন্যতম একজন সমাজ সংষ্কারক ছিলেন। তার টিচিং না নিয়ে শুধু ইয়া নবী সালামুয়ালাইকা মিলাদ পড়লে দুনিয়াবী আর আখেরাতের কি লাভ হবে জানি না, তবে মিলাদ শেষে গৃহ কর্তা ১০০ টাকা সালামী দিবে এটা জানি।

অন্য ধর্ম প্রচারক থেকে মুহম্মদ(সাঃ) ভিন্ন। কারন বাকীরা শুধু ডিভাইন এন্টিটি নিয়ে বলেছে। তারা শাসক হিসাবে  আবিভূর্ত হয় নাই। এমনকি গৌতম রাজত্ব ছেড়ে পরে ধর্ম প্রচারক হইছে। সেই অর্থে মুহাম্মদ(সাঃ) ভিন্ন কারন সে কঠিন একটা রিস্ক নিছে শাসনের নামে। শাসনতন্ত্র অত্যন্ত জটিল একটা কাজ। ডিভাইন ল দিয়ে ন্যায় বিচার সাম্যের কথা বলা সোজা কিন্ত রিয়েল লাইফ শাসনে এক্সিকিউট করা কত কঠিন সেটা একজন সোশ্যাল সায়েন্স ছাত্র হিসাবে একটু বুঝি। অনেক পক্ষ, প্রতিপক্ষ এবং অনুচর তৈরি হয়। সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেনী তৈরি হয়। এইসব সমস্যা অন্যান্য ধর্ম প্রবক্তা ফেস করে নাই কিংবা এটার জটিলতা বুঝতে পেরে এড়িয়ে গিয়েছিলো। মুহম্মদ(সাঃ)  এই কঠিন কাজটা করেছে, এবং বলা যায় সফলতার সাথে করেছে। এইটা নিয়ে আলোচনা নাই। আলোচনা হচ্ছে মিষ্টি খাইতো কিনা, বিয়ে কয়টা করছে, সহবাসের আগের গোসল করবে নাকি পরে গোসল করবে এইসব নিয়ে। যেটা পালন করা কঠিন সেইটাতে নাই যেটা করলে নিজের সুবিধা হয় সেটা জোর গলায় বলে নিজের ফায়দা নিতে গিয়ে ধর্মকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি?

মুহম্মদ(সাঃ) নিজে যুদ্ধ করেছে। এ-ই যুদ্ধ মানে অন্য ধর্মাবলম্বীকে কতল করার টিচিং না। এ-ই যুদ্ধ মানে মানুষের নিজের আত্মরক্ষার অধিকার। মুহম্মদ(সাঃ) ন্যায় নীতির কথা বলায় যখন তাকে আঘাত করতে আসে তখন তিনি আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন। এটার আরেকটা টিচিং হচ্ছে যুদ্ধ মানব ইতিহাসের এক অনিবার্য উপাদান, এ-ই সত্য মেনে নেয়া। অর্থাৎ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় বিপ্লব,  যুদ্ধ এড়ানো যায় না। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান একি কথাই বলে, বিপ্লব ছাড়া রাষ্ট্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। কিন্ত মুহম্মদ(সাঃ) বলে নাই নিরপরাধদের কতল করতে, মুহম্মদ(সাঃ) বলে নাই অন্য ধর্মাবলম্বীদের মারতে। বরং বিদায় হজ্বের ভাষনে সব ধর্মের সহবস্থানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে গেছে, আর মদীনা সনদে সেটাতো সাংবিধানিকভাবেই আছে।

খুব মনযোগ সহকারে দেখলে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার গোড়াপত্তন মুহম্মদের (সাঃ) দর্শনে আছে। সংবিধান (মদীনা সনদ), যাকাত ও জিজিয়া কর (রেভিনিউ সিস্টেম), গর্ভনেন্স শিফটিং (নির্দিষ্ট সময় পরপর শাসক পরিবর্তন হওয়া)। মুহম্মদ(সাঃ) রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নাই। যারা বাপের পরে পোলা এমপি হয়ে ইসলাম বলে চিল্লায় সেখানে কোথায় ইসলামের টিচিং? পীরের পোলা পীর হয়। এরমত ভন্ডামী আর কি হতে পারে?

মুহম্মদের(সাঃ) মেয়ে ছিলো, স্ত্রী ছিলো তাদের কাছে ক্ষমতা উইল করে দিয়ে যায় নাই। অনেকে বলবে আবু বকর তার শ্বশুর আর বাকী তিন খলিফা তার আত্মীয়,  যদিও উমর তার খুব কাছের আত্মীয় না। তবে এ-ই ব্যবস্থা মুহম্মদ(সাঃ) জীবিত থাকাকালীন বলে যায় নাই। মৃত্যুর আগে মুহম্মদ(সাঃ) বলে যায় নাই আবুবকর তার রিপ্লেসমেন্টে রাজ্য চালাবে। বরং বয়োজেষ্ঠ্য হিসাবে তখন সর্বসম্মতিক্রমে তাকে খলিফা বানানো হয়েছিলো। যদিও খেলাফত নিয়ে ক্যু, পাল্টা ক্যু, শিয়া -সুন্নী বিভক্তি অনেক ইতিহাস আছে। মুহম্মদ(সাঃ) থাকাকালীন এসব হয় নাই। তার অনুসারীরা তার টিচিং না নিতে পেরে এসব করছে।

এমনকি কথায় কথায় এখন যারা কোরানের ব্যাখা নিজের মত দেয়, বলে কোরানে এভাবে লেখা আছে মানে এভাবেই হবে,কিন্ত কোরান কয়েকবার সংষ্কার হয়েছে এ-ই ইতিহাস মাথায় নেয় না। কোরানে জের জবর পেশ এগুলো পরে যোগ হয়েছে মুহম্মদের(সাঃ) মৃত্যুর পর। গ্রামাটিকালি কোরান কয়েকবার সংষ্কার হয়েছে। এসব জানতে হবে। পড়তে হবে। কোরান জীবন বিধান এটা মেনে নেয়া আর সেটাকে বৈজ্ঞানিক প্রমান করতে গিয়ে বিজ্ঞানের সত্য খোজার প্রক্রিয়ার সাথে সংঘর্ষ বাধানো একপ্রকার মূর্খতা। কোরান যদি অবশ্য পালনীয় আইন হয় তাহলে সেটার মধ্যে বিজ্ঞানের মত এক্সপেরিমেন্টাল ব্যাপার খোজা কতটুকু যৌক্তিক?

 বাদশাহ ফয়সলের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য চিকিৎসক মরিস বুকাইলি কোরানকে বিজ্ঞান প্রমান করতে গিয়ে যে বই লিখেছিলো মাথামোটা মুসলমানরা বুঝে না বুঝে সেই গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়ে সেই কুপমুন্ডকতায় আটকে থাকে। একধরনের ফলস সুপরিয়রিটিতে ভোগে, আহা কোরান কত বিজ্ঞান ময়?? আরে ভাই সেটা মরিস বুকাইলিকে কেন বলা লাগছে? তুমি গবেষনা করে বের কর নাই কেন?? কারন তুমি অন্ধ।। তুমি ধর্মান্ধ। তাই অন্যরা কিছু আবিষ্কার করলে তারপর খুজতে বসে যাও কোন আয়াত দিয়ে ভুল ভাল ব্যাখা দিয়ে আরো অনেক মানুষকে বোকা বানিয়ে ফায়দা নিবা।। অন্যের কোন আবিষ্কারের সাথে তুলনা না করে নিজে গবেষনা করে আবিষ্কার করে তারপর ঘোষনা দাও কোরানের এ-ই আয়াত থেকে এইটা আবিষ্কার করছো। আইনকে আইনের জায়গায় রেখে বিজ্ঞান চর্চা কর মুক্তমনে। গভীরভাবে দেখলে কোরান আর বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক না। দুটোই দুইভাবে চরম সত্যকে খোজার প্রক্রিয়া।।

ধর্মে দুইটা ব্যাপার থাকে, একটা ডিভাইন আরেকটা মানডেইন। ডিভাইন মানে স্পিরিচুয়ালিটি আর মানডেইন মানে দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে ন্যায় বিচার সাম্য, সহবস্থান,  কর্ম এগুলো চালানো। মানে পার্থিব। এ-ই দুটার মধ্যে ট্রাঞ্জিশন টা খুব ইলুসিভ। আমরা মানডেইন আর ডিভাইনের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা বুঝতে হলে গবেষনা দরকার, অধ্যয়ন দরকার। সেটা নাই। আছে গরু কিভাবে জবেহ করবে, মাইয়া কম বয়স থাকতে বিয়ে করতে হবে এইসব।

মুহম্মদ(সাঃ) একজন অসাধারন সমাজ সংষ্কারক ও রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তার কাজ কে নিয়ে নির্মোহভাবে গবেষনা করতে হবে। এগিয়ে নিতে হবে। টিচিং টা নিতে হবে। আজান দিয়ে করোনার মত মহামারী কিভাবে দূর হবে আমি কোন হাদীসে খুজে পাই নাই। এমনকি আজানের ব্যাপারটা কোরানে ছিলো না। কোরানে নামাজের কথা ছিলো পরে মুহম্মদ(সাঃ) ভেবেছে নামাজে ডাকার জন্য একটা আহবান থাকা উচিত। এমনকি মুহম্মদ(সাঃ) নিজে আজানের লিরিক্স লিখে নাই। এটা একটা আহবান কিংবা এলানের মত। এটা ঐশ্বরিক কিছু না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ পড়ার আহবান। এ-ই সহজ সত্যটাই বুঝার জন্য একটু মাথা খাটাতে পারছি না আমরা। শুধু ইয়া নবী সালামু আলাইকা আর তবারকের জিলাপী খেয়ে বেহেশতে যাওয়ার দৌড়ে কে আর আগে ফার্স্ট হবো সেটাতে মগ্ন।

পানি পড়া দিয়ে মুহম্মদ(সাঃ) কোন রোগের চিকিৎসা করছিলো? কেউ কি জানেন? নবীজীর যখন একবার রোগাক্রান্ত হয়েছিলো তখন উনি চিকিৎসকের শরানপন্ন হয়েছিলো। উনি কোরানের আয়াত দিয়ে ঝাড় ফুক করে নিজের চিকিৎসা করে নাই। সেই রোগমুক্তির দিনকে আমরা আখেরী চাহার চোম্বা হিসাবে পালন করি। মুহম্মদ(সাঃ) নিজে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের সরনাপন্ন হয়ে বুঝিয়ে গিয়েছিলো রোগ শোক হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান মানে না। রোগের চিকিৎসা ঝাড় ফুক দোয়া পানি পড়া না। এসব যারা বলে তারা সত্যকারের ধর্ম চর্চাকারী হতে পারে না, তারাই ধর্মের বড় শত্রু। মুহম্মদ(সাঃ) কে নিয়ে গবেষনা করতে হবে। তার দর্শন, রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি, সমাজে ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার অবিচল সংগ্রামের শিক্ষা নিতে হবে।। শুধু ইয়া নবী সালামুয়ালাইকা দিয়ে বেহেশত যাওয়া গেলে এত কোরান হাদিস ইজমা কিয়াসের কি দরকার ছিলো?

আচ্ছা ওয়াজ কি পেশা?  মুহম্মদ(সাঃ) কি ওয়াজ করে অর্থ গ্রহন করতো? নাকি ইসলাম ধর্ম প্রচার করে অর্থ নিতো? রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে নিজে ব্যবসা করতো আর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর সেটার পরিচালনা বাবদ উনার সামান্য ভাতা ছিলো। তারমানে ওয়াজ ইসলামের দৃষ্টিতে পেশা হতে পারে না। ধর্মের বানী প্রচার করে অর্থ গ্রহন কোন হাদিসে লেখা আছে? যারা এসব করে  তারা কতটুকু ধর্মের সত্য প্রচারক আর কতটুকু জীবকার তাগিদে একপ্রকার ধান্দা সেটা যদি বিবেচনা করতে না পারেন তাহলে আপনি সাঈদীকে চাদে দেখবেন আর মিথ্যা গল্প ছড়াবেন নীল আর্মস্ট্রং চাদে নবীজীর পায়ের ছাপ দেখে ইসলাম গ্রহন করেছিলো। এ-র মত ডাহা মিথ্যা একটাও নাই। মিথ্যা আর গালবাজি দিয়ে ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব হয় না, বরং নিজের মূর্খতার কারনে এত সুন্দর ন্যায় ও সাম্যের একটা ধর্ম অপমানীত হয়। ধর্ম শ্রেষ্ঠত্বের রেইস না, ধর্ম নিজের আত্মার পরিশুদ্ধির রেইস। আপনার আচরনই আপনার ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব, আপনার গালবাজি আর মিথ্যা ওয়াজের নামে বাগাড়ম্বর না।। এইবার বলেন ঠিক কিনা?

লেখা: বাতেন মোহাম্মেদ
https://www.facebook.com/baten.ctg

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত!

এইচ আর আবির: দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আসছে রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে উদ্ভুত পরিস্থিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

এর আগেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পর খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে গণভবনে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এদিকে ঘোষিত সাধারণ ছুটি পহেলা বৈশাখের ছুটি সঙ্গে সমন্বয় করে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছে। আবার এর ১০ দিন পর শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। ফলে রমজান এবং ঈদুল ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে আগামী ৩০ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এছাড়া রমজানের আগে আবাসিক শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসলে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোও। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়, তাহলে সকল শিক্ষার্থীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসবে, এতে করে ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পরে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একবারে ঈদের পর খোলার ঘোষণা দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। কেননা ২৪ এপ্রিল রোজার ছুটি শুরু হয়ে যাবে। এদিকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ। বিদ্যমান শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২৪ এপ্রিল রোজার ছুটি শুরু। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও ১৪ এপ্রিলের পর রোজার ছুটির আগ পর্যন্ত কর্মদিবস আছে মাত্র ৬টি।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হলে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে গণভবনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দীর্ঘায়িত করার জন্য একটি বৈঠকে অনানুষ্ঠিক আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, খাদ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
আর করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দীর্ঘায়িত হলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যাতে ব্যাহত না হয় এর জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠদানের ভিডিও ক্লাস বাংলাদেশ সংসদ টেলিভিশনে সমপ্রচার করা হচ্ছে। ছুটির পর ক্লাস খুললে টিভির ক্লাসের মূল্যায়ন নেয়া হবে জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

এর অংশ হিসেবে গত ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিক স্তরের পাঠদান চলছে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে। একই টিভিতে আজ দুপুর ২টায় শুরু হচ্ছে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬টি শ্রেণির ২০ মিনিট করে আলাদা পাঠদান করা হবে।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও অনলাইনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো শিক্ষক চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কানেকটিভি ‘বিডিরেন’ ব্যবহার করে লেকচার দিতে পারছেন। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এই মুহূর্তের অগ্রাধিকার হচ্ছে মহামারী মোকাবেলা। আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত। তাই এ মুহূর্তে লেখাপড়ার চেয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা জরুরি। দুর্যোগ শেষ হলে আমরা লেখাপড়ার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য করণীয় নির্ধারণ করব।

সূত্রঃ The Daily Campus 

বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার: কবে পাচ্ছি আমরা?

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক: এই লেখার সময় পর্যন্ত পুরো বিশ্বে ৩৫টি বায়োফার্মা কোম্পানি এবং ইউনিভার্সিটি ল্যাব করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে ৪টি ভ্যাকসিন এর এনিম্যাল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। মার্কিন কোম্পানি Moderna সর্বপ্রথম মানব শরীরে ট্রায়াল শুরু করেছে। আরো বেশ কিছু ভ্যাকসিন এর হিউমান ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে শ্রীঘ্রই।

তাহলে কি খুব শীঘ্রই আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য পেতে যাচ্ছি? দুঃখজনকভাবে এর উত্তর হচ্ছে - "না"। যদি সব ধাপ এক বারেই আমরা অতিক্রম করতে পারি তাহলেও এই ভ্যাকসিন পেতে আমাদের আরো এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। কিন্তু কেন? জানতে হলে আমাদের বুঝতে হবে করোনা ভাইরাস এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্পর্কে কিছু জরুরি কথা।

করোনা ভাইরাস একটি positive stranded RNA ভাইরাস। এই ধরণের ভাইরাসের বিভিন্ন structural এবং non - structural প্রোটিন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের খুব ভালো জ্ঞান রয়েছে, যা এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার পথ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে। উপরন্তু চীনে করোনা ভাইরাস এর আক্রমণের পর সেদেশের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল সিকুয়েন্সিং করেছেন এবং সেই তথ্য সারা বিশ্বের সব বিজ্ঞানীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ২০০২ সালে চীনের Sars ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর সাথে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর প্রায় ৮০-৯০% মিল রয়েছে। এসব কারণে এখন পর্যন্ত ৩৫ টি ল্যাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছে।

খুশির ব্যাপার, তাইনা? কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে সব আবিষ্কারই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারেনা। কেন পায়না সেটা জানতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে একটি ভ্যাকসিন ল্যাবে আবিষ্কার হবার পর থেকে মানুষের ব্যবহার উপযোগী হবার মাঝে কি কি সাইন্টিফিক স্টেপ ফলো করতে হয়।

ল্যাবে ভ্যাকসিন এর প্রোটোটাইপ আবিষ্কারের পর সেটি প্রথমে পরীক্ষা করা হয় অন্য প্রাণীর শরীরে, যেমন - ইঁদুর, খরগোশ, গিনিপিগ, বা বানর। এই ধাপে দুটি বিষয় যাচাই করা হয় - ভ্যাকসিনটি নিরাপদ কিনা এবং সেটি ওই প্রাণীর শরীরে কাজ করছে কিনা। অধিকাংশ ভ্যাকসিনই এই ধাপে ঝরে যায়। যেসব ভ্যাকসিন এই ধাপ পার করতে পারে, তাদেরকে তখন হিউমান ট্রায়াল এর জন্য নির্বাচিত করা হয়। হিউমান ট্রায়াল তিন ধাপে করা হয়। ফেজ ১ ট্রায়াল এ সাধারণত কয়েক ডজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে ভ্যাকসিনটি ইঞ্জেক্ট করে দেখা হয় ভ্যাকসিনটি মানুষের শরীরে ব্যবহার করার জন সেফ কিনা এবং ভ্যাকসিনটি আমাদের শরীরে সঠিক ইমিউন রেসপন্স তৈরী করছে কিনা। ফেজ ২ ট্রায়াল করা হয় কয়েকশো মানুষের মধ্যে, আর ফেজ ৩ ট্রায়াল করা হয় কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে। সবগুলি ট্রায়াল ফেজেই একদলকে ভ্যাকসিন দিয়ে আর অন্যদলকে প্লাসেবো (দেখতে ভ্যাকসিনের মত কিন্তু ভ্যাকসিন নয়) দিয়ে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং সেফটি দেখা হয়। সবগুলি ট্রায়াল ফেজে কার্যকারিতা এবং সেফটি প্রমাণিত হলেই অনুমোদন মিলে ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে তৈরী করার। এই ধাপগুলি সম্পন্ন করতে কয়েক বছর থেকে শুরু করে এক যুগের বেশি সময়ও লেগে যেতে পারে। যেমন - ইবোলা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সর্বসাকুল্যে ৬ বছর সময় লেগেছিলো।

করোনা ভাইরাস যেহেতু মহামারী আকার ধারণ করেছে, সেহেতু এর ভ্যাকসিন পেতে কি কিছু ধাপ না মেনে গেলে হয় না? না, হয়না। তবে আশার বিষয় হচ্ছে FDA থেকে এনিম্যাল এবং হিউমান ট্রায়াল একইসময়ে করার পারমিশন দেয়া হয়েছে, যাতে করে ধাপগুলি তাড়াতাড়ি সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আরো বড় একটি বাধা হচ্ছে FDA এর অনুমুতি পাওয়ার পর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে আরো বেশ কিছু সময় চলে যায়। FDA কিছু কোম্পানিকে রিস্ক নিয়ে আগে ভাগেই বাণিজ্যিক উৎপাদন করার জন্য বলছে - রিস্ক এই জন্য যে যদি প্রমাণিত হয় যে ভ্যাকসিনটি কার্যকর বা সেফ নয়, তাহলে কোম্পানির পুরো ইনভেস্টমেন্ট লস হবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন সবকিছু যদি প্ল্যানমাফিক হয় তাহলে হয়তো আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো।

ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সব ভ্যাকসিন কিন্তু মানবদেহে প্রবেশের পর ওই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারেনা, অনেক সময় ভাইরাসের আক্রমণকে উল্টা আরো তীব্র করে ফেলে। যেমন - respiratory syncytial virus এর ভ্যাকসিন শিশুদের শরীরে দেয়ার পর ওই ভাইরাস শিশুদেরকে আরো বেশি অসুস্থ করেছিল। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখতে হবে এনিম্যাল ট্রায়ালে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অনেকসময় ভাইরাস কিন্তু নিজের রূপ পরিবর্তন করে এবং তখন ভ্যাকসিন কাজ করে না। করোনা ভাইরাসের স্পাইক (S) প্রোটিন এর বিরুদ্ধে এখন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, কিন্তু কিছু কিছু ল্যাবে মেমব্রেন (M) এবং এনভেলপ (E) প্রোটিনের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ হচ্ছে।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমাদেরকে বেশকিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবার জন্য। তাই আসুন বেশি বেশি করে বাসায় থাকি এবং হাত পরিষ্কার করি, যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি আমরা।

বি. দ্র. ভ্যাকসিন নিয়ে আমি গবেষণা করিনা। তাই এই লেখাটি লেখার সময় আমি Dr Gregory Poland, Director, Mayo Vaccine Research Group এবং Dr Fauci, Director, National Institute of Allergy and Infectious Diseases, USA এর দুটি ইন্টারভিউ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি।

লেখনী:
ডাঃ মোঃ সাজেদুর রহমান শাওন
এপিডেমিওলোজিস্ট
ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়তে পারে ঈদ পর্যন্ত!!




এইচ আর আবির: করোনাভাইরাসের কারণে দেশের
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হতে পারে। এই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি।

চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কয়েকটি ধাপে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াভয়তা বেড়ে যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হওয়াটা আরও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে তাদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বর্তমান ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আগামী রমজান ও ঈদের ছুটি পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সবার আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হতে পারে।’

সচিব বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে রাখতে বেশ কিছু বিকল্প পন্থা হাতে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সংসদ টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ভিন্ন আরও কিছু পন্থা আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছি। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে সেসব বাস্তবায়ন করা হবে।

‘এমনিতে বছরের অর্ধেক সময় বিভিন্ন কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ শিক্ষাজীবনে যাতে কোনো ব্যাঘাত না হয়, তাও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটি বৃদ্ধির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’-যোগ করেন সচিব মাহবুব হোসেন।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, সকল আগে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে আমরা ভাবছি। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিকল্প পন্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হবে। চলতি সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস রেকর্ডি করে টেলিভিশনে তা সম্প্রচার শুরু করা হবে। বাসায় বসে শিক্ষার্থীরা সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের রেকর্ডিং করা ক্লাস রোববার থেকে সম্প্রচার শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
সুত্র: এমপিনিউজ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়তে পারে ঈদ পর্যন্ত!

NTRCA ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাবেন আরও ৪৫ হাজার শিক্ষক

মামলা জটিলতায় প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় ব্যা...